ক্রস কারেন্সি
ক্রস কারেন্সি পেয়ার হল সেই পেয়ার যেগুলোতে ইউএসডি থাকে না। এটা অনেক আগের কথা যখন কেউ এক কারেন্সি থেকে অন্য কারেন্সি করতে চাইত তখন তাদের প্রথমে সেটা প্রথমে ডলারে পরিনত করতে হত। আর তারপর অন্য কারেন্সিতে আবার পরিনত করতে হত।
উদাহরণস্বরূপ – ধরুন আপনি আদিম যুগের মানুষ। কাপড়ের যায়গায় গাছের পাতা ব্যাবহার করে। আপনি সেই যুগে ব্রিটিশ পাউন্ড এর বদলে জাপানিজ ইয়েন নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সেই আদিম যুগে এভাবে করাটা সম্ভব ছিলনা। আপনার ইয়েন নিতে হলে আপনাকে প্রথমে জিবিপিকে ডলারে পরিনত করতে হবে। তারপর ডলারকে আবার ইয়েনে পরিনত করতে হবে।
এখন যুগের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, আমরা এখন আর গাছের পাতা ব্যাবহার করি না। এই পরিবর্তনের সাথে কারেন্সি ক্রস আবিস্কার হয়েছে। এখন আপনি আপনার কারেন্সিকে ডলারে পরিনত করে তারপর আবার অন্য কারেন্সিতে পরিনত করার প্রক্রিয়াকে বাদ দিতে পারেন। এখন আপনি সরাসরি একটা কারেন্সিকে অন্য কারেন্সিতে পরিনত করতে পারেন। যেমনঃ জিবিপি/জেপিওয়াই, ইউরো/জেপিওয়াই, ইউরো/জিবিপি ইত্যাদি
ক্রস রেট গননার পদ্ধতিঃ
যদিও আপনার ব্রোকার আপনার জন্য এই গননা করে দেয়, তারপরও সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞান থাকা ভালো। তাই ক্রস কারেন্সির রেট কিভাবে গননা করা হয় সেটা জানা থাকলে কোন ক্ষতি নেই।
ধরুন আমরা জিবিপি/জেপিওয়াই এর বিড/আসক প্রাইস গননা করে বের করতে চাই। প্রথমে আমাদের যা দেখতে হবে তা হল জিবিপি/ইউএসডি এবং ইউএসডি/জেপিওয়াই এর বিড/আসক রেট।
এই ২টা আবার দেখার প্রয়োজন কেন? পড়তে থাকেন মিয়া...
এই ২টা কারেন্সি পেয়ারের প্রয়োজন কারন হল গিয়ে এই ২ টা কারেন্সি পেয়ারেরই ইউএসডি আছে। জিবিপি/ইউএসডি এবং ইউএসডি/জেপিওয়াই কে জিবিপি/জেপিওয়াই এর “পা” বলতে পারেন কারন ২টায়ই ইউএস ডলারের সাথে জড়িত।
এখন দেখি যে বিড/আসক কিভাবে বের করা যায়ঃ
বিড প্রাইসের সুত্রঃ জিবিপি/ইউএসডি X ইউএসডি/জেপিওয়াই (এর বিড প্রাইস)
আসক প্রাইসের সুত্রঃ জিবিপি/ইউএসডি X ইউএসডি/জেপিওয়াই (এর আসক প্রাইস)
বিড/আসক ধরে নেইঃ
জিবিপি/ইউএসডিঃ ১.৬২১৮/১.৬২২০
ইউএসডি/জেপিওয়াইঃ ৮৯.৮৪/৮৯.৮৬
তাহলেঃ
জিবিপি/জেপিওয়াই বিডঃ ১.৬২১৮ X ৮৯.৮৪ = ১৪৫.৭০
জিবিপি/জেপিওয়াই আসকঃ ১.৬২২০ X ৮৯.৮৬ = ১৪৫.৭৫
এটা কি খুব কঠিন কিছু ছিল?
No comments